এমন মেয়ে খুজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব যে সাজতে ভালোবাসে না। কারণ, মেয়েরা আর যাই করুক না কেন, নিজেকে সেজেগুজে কিভাবে সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায় সেটা ভাল করেই জানে। এতে সহজেই নিজের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরা যায়। কিছু কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই কিন্তু সাজগোজের জিনিসের যত্ন নেওয়া যায় অনায়াসে। সুন্দর, নিখুঁত সুশ্রী মুখের স্বপ্ন সফল হতে পারে যদি আপনার জানা থাকে মেকআপের সঠিক প্রয়োগ কৌশল।
মেকআপের কলাকৌশল
মেকআপের মূলমন্ত্র হলো যা দিয়ে মেকআপ করবেন তার সঠিকে প্রয়োগ জানা। জেনে নিন
কোন উপকরণ কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং প্রথমে যা করবেন...
ক্লিনজার ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল, ময়লা, মৃত কোষ এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ পরিষ্কার করে। মেকআপ শুরুর আগে এবং পরে অর্থাৎ মেকআপ তোলার জন্য কেনজার বহার জরুরি । ব্রন বা এ্যাকনে কমাতে সাহায্য করে কেনজার। দিনে অন্তত দু’বার কেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত।
টোনার
কেনজারে তৈলাক্ত ভাব দূর করে। মুখে যেকোনো কসমেটিক ব্যবহারের আগে টোনার ব্যবহার করা আবশ্যক। কটন প্যাডে ৪-৫ ফোটা টোনার ঢেলে হাল্কা হাতে মুখ এবং গলা পরিষ্কার করে নিতে হবে। টোনার সবসময় মুখের নিচ থেকে উপরের দিকে (আপ ওয়ার্ড স্ট্রোক) লাগাতে হবে। খুব শুষ্ক ত্বকে টোনার ব্যবহার না করাই ভালো।
ত্বক আর্দ্র রাখে ময়েশ্চারাইজার। মুখের রুক্ষভাবকে কাটাতেও জুড়ি নেই ময়েশ্চারাইজারের। তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশনই মেকআপের ভিত্তি। মুখের কোন অংশ হাইলাইট করার জন্য লাইট শেড ব্যবহার করুন। মুখের দুর্বলতা ঢাকতে গাঢ় শেড। ফাউন্ডেশন লাগাবার পর মুখ ও গলার ত্বকে ব্লেন্ড করে দেওয়া খুব জরুরি। লিকুইড, ক্রিম বেসড এবং পাউডার ফাউন্ডেশনের মধ্যে লিকুইড, ফাউন্ডেশনে ত্বকে ন্যাচারাল লুক আনে।
লিপলাইনার
লিপলাইনার লাগাতে পারেন আপনার ন্যাচারাল লিপলাইন ঘেঁষে। ঠোটের আকৃতির ওপর নির্ভর করবে ঠিক কীভাবে - আপনার ঠোট আউটলাইন করবেন। বেশি গাঢ় করে লিপলাইন না করাই ভালো। কারণ এতে ঠোঁটের আকৃতি অস্বাভাবিক লাগে।
লিপস্টিক
লিপস্টিকের রং যতটা সম্ভব আপনার ঠোটের ন্যাচারাল কালারের কাছাকাছি হয়, ততই ভালো। অফিসে বা সকালে কোথাও যাওয়ার জন্য ম্যাট ফিনিশ এবং সন্ধ্যাবেলার জন্য। গ্লসি বা স্যাটিন ফিনিশ আদর্শ। লিপস্টিক লাগানো শুরু করুন ঠোটের মাঝখান থেকে। ধীরে ধীরে লিপ ব্রাশের সাহায্য ছড়িয়ে দিন দু’ধারে। লিপস্টিক লাগানো শেষ। হলে টিস্যু পেপার খানিকক্ষণ ঠোটে চেপে রাখুন। এক্সট্রা লিপকালার অ্যাবজর্ভড হয়ে। যাবে। যদি আই মেকআপ খুব হেভি হয়, তা হলে ঠোটে ন্যাচারাল লুক রাখলে মেক-আপ ব্যালান্স দেখাবে।
আই লাইনার ও কাজল
আইশ্যাডো লাগানোর পর আইলাইনার ও কাজল লাগানোর পালা। আপনার চোখের রং যদি হাল্কা হয় তাহলে ব্রাউন, নেভি বা চারকোল লাইনার মানাবে। যদি চোখের তারার রং গাঢ় হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ব্রাউন বা প্লাম শেড। আইলাইনার লাগাবার সময় মাথাটা একটু পিছন দিকে হেলিয়ে রাখুন। আর চোখটা যেন আধ বোজা থাকে। স্মোকি আইজ চাইলে ব্রাশের সাহায্যে আইলাইনারটা সামান্য ঘষে নিন।

টিপস
• মেকআপের যেকোনো জিনিস, যেমন— লিপস্টিক, কমপ্যাক্ট বা আই শ্যাডো নিজের ত্বকের ওপর পরীক্ষা করে তারপরই কিনুন।
• অনামি ব্র্যান্ডের জিনিসে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। নামি ব্র্যান্ডের কসমেটিক্স ব্যবহার করাই ভালো।
• মেকআপ করার জায়গায় জোরালো আলোর ব্যবস্থা রাখুন ।
• কারেটিভ মেকআপ নিখুঁতভাবে করার জন্য চাই প্র্যাকটিস।
• বাইরে বেরোবার আগে অন্তত দু'বার বাড়িতে রপ্ত করুন।
ভালমানের মেকাপ উপকরণ অনলাইন শপিং থেকে ক্রয় করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

No comments:
Post a Comment